সরকারি
অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম একটি স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ।
এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব বাবলী পুরকায়স্থ একজন দক্ষ ও সুখ্যাতি সম্পন্ন প্রশাসক। তারই নেতৃত্বে বিদ্যালয়টি অত্যন্ত সুচারু ও সুনিপুনভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলে সারা দেশব্যাপী খ্যাত। ১৯০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচয় ছাপিয়ে বর্তমানে কলেজ পর্যন্ত তার আঙ্গিনা প্রসারিত করেছে। বর্তমান শিক্ষার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে এ বিদ্যালয়টি। উচ্চ শিক্ষিত, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত, দক্ষ ও
অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল যেমন শতভাগ সাফল্যজনক তেমন বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। বৎসরের ১ম দিনই অতি জাকজমকপূর্ণ পাঠ্যপুস্তক দিবস দিয়ে শুরু হয়। এরপর ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি, শিক্ষাসফর ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলো অত্যন্ত ভাবাগাম্ভীর্য পরিবেশে উৎযাপিত হয়। বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করার জন্য প্রতি বৎসর ১লা বৈশাখ অত্যন্ত উৎসাহ, আনন্দ ও উদ্দীপনার সাথে পালন করা হয়। ছাত্রীদের সৃজনশীলতা ও বহুমুখী প্রতিভার বিকাশ ও সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে সম্পাদনের জন্য রয়েছে বাংলা বিতর্ক ক্লাব, ইংলিশ লেংগুয়েজ ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব ইত্যাদি।
বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির। তাই বিদ্যালয়ে রয়েছে অত্যাধুনিক আইসিটি ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া
ক্লাসরুম যার মাধ্যমে প্রতিটি শ্রেণী পাঠদান, কার্যক্রমসমূহ ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফলাফল ডিজিটাল পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। প্রতি বৎসর বার্ষিক খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিজ্ঞান মেলা ও গণিত কুইজ প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। ছাত্রীরা অত্যন্ত আগ্রহ উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে। বিদ্যালয়ে রয়েছে একটি চৌকর্ষ গার্ল গাইডস ও একটি হলদে পাখির দল বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তারা তাদের দক্ষতা ও সফলতার পরিচয় দিয়ে থাকে। আমাদের প্রধান শিক্ষক গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন এর সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিশনার।
এ বিদ্যাপীঠের একজন সহযাত্রী হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।
আমরা সবাই মিলে অঙ্গীকার করি একটি মাদকমুক্ত, ধর্মীয় কুসংস্কার ও অসাম্প্রদায়িক সমাজগঠন যাতে শিক্ষার্থীরা এখানে নৈতিকতা দায়িত্বশীল, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মূল্যবোধে উজ্জীবিত হয়ে আদর্শ নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠে। যাতে তারা বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক দেশ গঠনে আগ্রহী ও উপযোগী হয়ে উঠে। এ প্রতিষ্ঠানটি শুধু সিলেটবাসীর নয় বরং দেশের গৌরব। তাই আমাদের অঙ্গীকার হোক যেন এ বিদ্যালয়টি তার ঐতিহ্যকে আরো সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।